লিমিটের ভিতর চলতে শেখা,

 লিমিটের ভিতর চলতে শেখা, 


কিভাবে? 


খেয়াল করে দেখুন, আপনার স্কুল মাস্টার বাবা-মায়েরা ৪-৫টা বাচ্চাকে কিভাবে বড় করেছেন? 

তারা বাচ্চাদের লিমিটের ভিতর থাকা শিখিয়েছিলেন।


এদিকে এক দুইটা বাচ্চা নিয়ে আপনার সংসারের টানাটানি ফুরায়ই না। কেন?

কারণ, আমরা কোন লিমিট নিয়ে চলি না। আনলিমিটেড মানেই ওয়েস্টেজ, অপচয়, ধ্বংস, নষ্ট।


মনে করে দেখুন, আপনার বাবা-মায়েদের সময় একটা মুরগী রান্না হলো, বাড়িতে ৫ ভাই বোন, কাজের লোক সহ মোট সদস্য ৮ জন। আপনার মা সবার জন্যে বাটি সিস্টেম করে রেখেছেন। তার হিসাব অনুযায়ী একটা মুরগি তিনি আলু দিয়ে মুটামুটি এক কড়াই করে তরকারি করে ফেলতেন। 


এই এক মুরগিতে আপনারা ৮ জন মানুষ দুপুরে এবং রাতে খাবেন। সেইভাবে বাটি সিস্টেম হতো। দুপুরে এক পিস গোস্ত, ঝোল, আলু। রাতের বেলায় হাড় গোড় থেকে এক পিস, সাথে ভাজি, ডাল এরকম। এটা খুব জরুরী শিক্ষা। 


এদিকে আমাদের এখন কি হয়? 

তরকারি রান্না হলে, পুরোটা একসাথে টেবিলে নিয়ে আসা হয়। 


বাচ্চাকে আগেই রান থানের পিস দিয়ে একাকার অবস্থা। রান বাদে মুরগীতে আর যে কিছু আছে, অনেকের বাচ্চারা জানেও না বোধহয়। একটা মুরগী রান্না করলে একবেলা থেকে দুইবেলায়ও যায় না।


আপনার আম্মার সংসারে যেখানে ছিলো বাটি সিস্টেম, সেখানে তরকারি কম পড়লে একটু অভিযোগ করলে, খেয়াল করে দেখুন, আপনার আম্মা হয়তো, তার ভাগ থেকে এক পিস গোস্ত আপনাকে এক্সট্রা দিয়েছেন, তিনি খান নাই। একসময় আপনিও আবদার করা ছেড়ে দিয়েছেন।


এখান থেকে বাবা-মায়ের সাথে আরেকটা বন্ডিং স্ট্রং হয়েছে। আপনার বাবা-মা আপনার জন্যে ত্যাগ করেছেন, মানে আপনিও সেটা শিখলেন।


এখন ত্যাগের তো কিছু নাই, সবই তো অপরিমাণ। বাবা-মা লোন করে হলেও আনছে তো। লোন করে ঘি তো খাচ্ছি, কাজেই বাবা-মায়ের কোন স্ট্রাগল বা কোন কষ্ট তো বাচ্চার চোখে পড়ে না। তারাও ধরে নেয়, লোনের এই ঘিটাই গ্রান্টেড। তাদের ভেতরেও এতো ফিলিংস এখন আর কাজ করে না।


ব্যাপারটা মিলিয়ে দেখতে পারেন।


সংগৃহীত

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post